ঘুমাতে গেলেই মালিকের ছেলে… এক একটি মুখ যেনো একটি নির্যাতনের গল্প

জীবিকার টানে এখন বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার নারী যায় বিদেশে। আর তার বেশি সংখ্যকই পাওয়া যাবে মধ্য প্রাচ্যে। সৌদি আরবেও অসংখ্য বাংলাদেশি নারী প্রবাসির দেখা মেলে। তবে সেখানে তারা এমনও কিছু কাজ করতে হয় যা তাদের জীবনেরও ঝুকি থাকে। আবার অনেক সময় নির্যাতনের মাঝেও কাওকে কাছেও পাওয়া যায় না সেখানে।

সৌদি আরব থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে শূন্য হাতে দেশে ফিরেছেন ৪৩ গৃহকর্মী।
শনিবার (২২ জুলাই) রাতে আরব আমিরাতের দু’টি বিমানে করে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
দেশে ফিরা গৃহকর্মীদের এক একটি মুখ যেনো একটি নির্যাতনের গল্প নিয়ে পা রাখে বাংলাদেশে। এসময় এদের সবার হাতে পুটলি আর চোখে-মুখে ছিল হতাশার ছাপ।

বিমানবন্দরে নেমেই সৌদি থেকে ফেরত এক নারী বলেন, আমরা সৌদি এত আশা করে গেলাম, দুই-তিনবছর থাকবো বলে। কিভাবে থাকবো? এক বাড়িতে কাজ করেছি, খাবার দেয়নি। ঘুমাতে গেলে মালিকের ছেলে অত্যাচার করতো। ভাতিজা, ভাগিনাকে রুমে রেখে যায়। ১৬ মাসে বাসায় ফোন দিয়েছি মাত্র চারবার।

শুধু কি তাই? বেতন না দেয়া, অতিরিক্ত কাজ কিংবা শারীরিক নির্যাতনের কথাও জানান তারা।

আরেকজন বলেন, এক বাসার কথা বলে, চার বাসায় কাজ করিয়েছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। মাথায় গরম চা ঢেলে দিয়েছে। টাকা দেয় নাই। আমাদের মনের দুঃখ প্রকাশ করবো। আপনারা সান্ত্বনা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না।

উল্লেখ্য, গত ৩ মে ৩৫ জন, ১২ মে ২৭ জন, ১৯ মে ৬৬ জন, ২৩ মে ২১ জন, ২৭ মে ৪০ জন এবং ৩ জুন ২৯ জন, ১৮ জুন ১৬ জন, ১৯ জুন ২৭ জন এবং ২৬ জুন ২২ জন ও ১০ জুলাই ৪২ জন নারী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।